ফর্মুলা ক্রিয়েটার মোবাইল অ্যাপস্ দিয়ে খুব সহজেই একটি পাইলে পাটের পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। গুগল প্লে স্টোর থেকে নামিয়ে নিন এবং নীচের ছবির মত নিজেই তৈরি করুন।
পাট এক প্রকার উদ্ভিদের ছাল হতে প্রাপ্ত তন্তু (Fiber)।পাট সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের প্রাকৃতিক ফাইবার গুলোর মধ্যে একটি।পাটের দীর্ঘ,চকচকে সোনালী রংয়ের আশঁ সহজে পাক দিয়ে শক্তিশালী সূতা ( thread) তৈরী করা যায়।পাটের সোনালী রং ও ভাল গুনাগুনের কারণে একে সোনালী আশঁ বলা হয়। পাট সাধারণত দুই প্রকার। যথা: ১) সাদা (Whitejute) বা তিতা পাট (বৈজ্ঞানিক নাম Corchorus capsularis ) ২) তোষা (Tossa jute) বা মিঠা পাট (বৈজ্ঞানিক নাম Corchorus olitorius ) এছাড়া আরো একটি উদ্ভিদ হতে পাটের মত তন্তু পাওয়া যায় যার নাম মেস্তা (বৈজ্ঞানিক নাম Hibiscus Cannabinus) । কিছু কিছু দেশে যেখানে পাটের চাষ নেই সেখানে পাটের বিকল্প হিসাবে কেনাফ নামে এক প্রকার উদ্ভিদের আশঁ ব্যবহার করা হয়। অঞ্চল ভিত্তিক পাটের মান (শুধু মাত্র বাংলাদেশের জন্য) বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি ও পানির গুনাগুণ, আবহাওয়া ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারণে পাটের আঁশের মানের তারতম্যের জন্য পাটকে অঞ্চলভিত্তিক পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১। জাত পাট: বৃহত্তর ঢাকা,ময়মনসিংহ,জামালপুর,টাঙ্গাইল ও কুমিল্লা জেলায় উৎপাদিত পাট জাত পাটের অন্তর্গত।এই অঞ্
আঁশের গুনগতমান অনুযায়ী পাটের শেণী বিন্যাস করাকে যাচাই বলে। একই জমিতে বা অঞ্চলের পাট একজাতের হলেও এর রং , উজ্জ্বলতা , তৈলাক্ততা , আঁশের দোষগুণ এবং কাটিংস্ এর পরিমান ইত্যদি বিভিন্ন কারণে পাটের বিভিন্ন গ্রেড হয়ে থাকে। লুজ আকারে বাজার হতে সংগ্রহের পর যাচাই করে ভিন্ন ভিন্ন নির্দিষ্ট গ্রেড নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ , কেননা পরবর্তীতে পণ্য প্রস্তুতের সময় পণ্যের উৎপাদনশীলতা ও পণ্যের গুনগত মানের ব্যাপারে উত্তম যাচাই যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। পাটের শ্রেণী বিন্যাস বা যাচাই দুই প্রকারের ।কাচ্চা যাচাই ও পাক্কা যাচাই। পাটের গোড়া ( কাটিংস্ ) না কেটে গ্রেড নির্ধারণ করাকে কাচ্চা যাচাই এবং গোড়া কেটে গ্রেড নির্ধারণ করাকে পাক্কা যাচাই বলে । সাধারণত পাক্কা যাচাইকৃত বেলপাট বিদেশে রপ্তানী করা হয়। পাট যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় : উৎপন্ন পাটে বিভিন্ন মান সংমিশ্রণ থাকে। এই পাটকে গুনগত মান অনুযায়ী যাচাই করে শ্রেণী বিন্যাস বা গ্রেডিং করা হয়। যাচাই শ্রমিকগণ তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি
সাধারণত পাটকলগুলোতে পানির সাথে এক প্রকার খনিজ তেল ও সাবানের (ইমালসিফায়ার) মিশ্রণে ইমালশন তৈরী হয়। খনিজ তেলকে JUTE Batching Oil (JBO) বলা হয়।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (পদ্মা,মেঘনা, যমুনা) হতে সংগ্রহ করা হয়।ইমালসিফায়ার হিসেবে ননিডেট পি-৪০, নিকালিন-১০০, হাইড্রোম্যাক্স ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। উপাদানসমূহের কার্যকারিতা: JBO এক প্রকার হাইড্রোকার্বন জাতীয় পদার্থ। ইমালশন প্রয়োগের পর পাট স্তূপাকারে রেখে দিলে এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। JBO‘র হাইড্রোকার্বন ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য ও শক্তি যোগায় । ব্যাকটেরিয়াকুল পাটের শক্ত আঠা (লিগনিন) খেয়ে ফেলে। ফলে পাট নরম হয় ও পরবর্তী প্রক্রিয়ার সহায়ক হয়। জেবিও এর পিচ্ছিলকরণ ক্ষমতা উচ্চমান সম্পন্ন হওয়ায় প্রক্রিয়াকালীন সময় আঁশের সাথে ধাতুর ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করে । এতে ক্ষুদ্র আঁশ অপচয় কম হয়। পাট মেশিনে চলার সময় মেশিনের পিন ও রোলার পরিস্কার রাখে ও সহজে মরিচা ধরে না (যন্ত্রাংশের স্থায়ীত্বকাল বৃদ্ধি পায়)। পাট মেশিনে চলতে সহজতর হয়। পানি: পানি পাটের আঁশকে আর্দ্র করে নমনীয় করতে সহায়তা করে। ইমালশনে ব্যবহৃত JBO পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে সহজে আঁশের ভিতরে প্র
Comments
Post a Comment